SolidBangla Home Page

Faridpur District

বাংলা সংবাদপত্র ফরিদপুর সংবাদপত্র ফরিদপুরের সরকারী তথ্য বাতায়ন বাংলা ওয়াজ শুনুন ফ্রিল্যান্স জবস
Dhaka Division
Dhaka
Faridpur
Gopalganj
Madaripur
Kishoregonj
Manikganj
Munshigonj
Narayanganj
Rajbari
Narsindi
Shariatpur
Gazipur
Tangail
Other Divisions
Barisal Division
Khulna Division
Chittagonj Division
Rajshahi Division

 

ফরিদপুর জেলা
দেশের মধ্যঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা ফরিদপুর। শহীদ তিতুমীরের হাজী শরীয়াতুল্লাহর স্মৃতি বিজড়িত এ জেলাটিতে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি এবং প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭০ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯৬০ জন। ফরিদপুর জেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলা ও পদ্মা নদী। পদ্মার ওপারে মানিকগঞ্জ জেলা। দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে মাদারীপুর ও পদ্মা নদী যার অপর তীরে মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা। ৯ টি উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর জেলা গঠিত। এগুলো হল ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারি, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, চরভদ্রাসন, সালথা ও সদরপুর উপজেলা। সমুদ্রপৃঠ থেকে অনেক উচুতে হওয়ার সাধারনত বন্যার পানিতে এ জেলাটি প্লাবিত হয় না। 

ইতিহাস ঐতিহ্য
বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরানো জেলা ফরিদপুর। ১৭৮৬ সালে ফরিদপুর জেলা গঠিত হয়। সময়ের সাথে সাথে বৃহত্তর ফরিদপুর ভেঙ্গে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং শরীয়াতপুর জেলা গঠিত হয়। শহীদ তিতুমীরের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় ফরিদপুরের প্রায় পুরো এলাকাই তার নিয়ন্ত্রনে ছিল। হাজী শরীয়াতুল্লাহ এবং তার পুত্র মহসিন উদ্দিন দুদু মিয়ার ফারায়েজি আন্দোলনের সময়ও এসব আন্দোলনে এ এলাকার মানুষের প্রচুর অংশগ্রহন ছিল। ফরিদপুর জেলার পূর্ব নাম ছিল ফাতেহাবাদ। পরবর্তীতে এখানাকরা প্রখ্যাত সুফী ও সাধক শাহ শেখ ফরিদউদ্দিনের নামানুসারেই এ জেলার নামকরন করা হয় ফরিদপুর।

দর্শনীয় স্থান
ফরিদপুর জেলায় প্রচুর দর্শনীয় স্থান এবং প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন রয়েছে। পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের বাড়ি দর্শনার্থীদের অনেক পছন্দের একটি স্থান। জেলার বাহিরের থেকেও প্রচুর দর্শনার্থীরা এখানে আসে। জসীমউদ্দিনের বাড়ি পিকনিক স্পট হিসাবেও সুপরিচিত। পদ্মার বাধ এবং পদ্মার বালুচরও অনেক বেশি মনমুগ্ধকর স্থান। খুব ভোরে এবং বিকাল বেলায় হাটাহাটির জন্য এ স্থানগুলো অনেক বেশি পছন্দের। জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট, টেপাখোলা সুইচ গেট, শেখ রাসেল শিশু পার্ক ইত্যাদি।
এছাড়াও ফরিদপুর বেশকিছু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনও রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হল শের শাহ এর গ্রান্ড ট্রাংক রোদ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর, পাতরাইল মসদিজ ও দিঘি, ফরিদপুর জেলা জজ কোর্ট ভবন এবং কানাইপুর জমিদার বাড়ি।
বাগাটের বিখ্যাত মিষ্টি ও  দধি এবং জামতলার রসগোল্লা ফরিদপুরের দুটি স্পেশাল খাবার। তাছাড়া ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ও অনেক বিখ্যাত।

যাতায়াত
ঢাকা থেকে আকাশ বা রেলপথে ফরিদপুরে যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই। ঢাকার সাথে ফরিদপুরের যোগাযোগ সড়কপথেই হয়ে থাকে। ফরিদপুরগামী প্রায় সবগুলো বাসই গাবতলী বাসস্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। গোল্ডেন লাইন, আজমেরি, সোহাগ, নাবিল সহ বেশ কিছু বাস প্রতিদিন ঢাকা ফরিদপুর রুটে যাতায়াত করে। দৌলতদিয়াপ-পাটুরিয়া ঘাট হয়ে পদ্মা পারি দিয়ে এসব বাসগুলো ফরিদপুরে যায়। তবে ঢাকার অন্যান্য বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাতায়াতকারী প্রচুর লোকাল বাস পাওয়া যায়। এসব বাসে ঘাট পর্যন্ত এসে লঞ্চে বা স্পিড বোটে নদী পার হয়েও ফরিদপুর আসা যায়।

ফরিদপুরের স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।

For any suggestions or comment, please contact us. Thanks