Other Divisions |
Barisal Division |
Khulna Division |
Chittagonj Division |
Mymanshing Division |
Rajshahi Division |
|
|
|
|
গাজীপুর জেলা
গাজীপুর ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। সুপ্রাচীন কাল থেকেই ইতিহাস ঐতিহ্যে ব্যপক সমৃদ্ধ গাজীপুর জেলা। নোঘল আমল থেকে শুরু করে বৃটিশ এবং পাকিস্তান আমলেও প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম কেন্দবিন্দু ছিল গাজীপুর জেলা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাশস্ত্র যুদ্ধ গাজীপুরেই হয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর গাজীপুরে অবস্থিত। দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কও এখানেই রয়েছে। রয়েছে পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের শিল্প কারপখানা এবং অনেক দর্শনী স্থান ও প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন। জেলাটির আয়তন জেলাটির আয়তন ১৭৭০ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘতন্ব ১২০০ জন। গাজীপুরের উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা। দক্ষিণে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা। ৫ টি উপজেলা নিয়ে গাজীপুর জেলা গঠিত। এগুলো হল গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ, কাপসিয়া এবং শ্রীপুর। গাজীপুরে সিটি কর্পোরেশনও রয়েছে। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতিমা গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে হয়।
ইতিহাস ঐতিহ্য
১৯৮৪ সালে গাজীপুরকে জেলা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষা, তুরাগ, বালুসহ বেশকিছু নদী বয়ে গেছে গাজীপুরের মধ্যে দিয়ে। হাজার হাজার বছর আগে এসব নদীর পলিমাটির কারনেই গড়ে উঠেছিল গাজীপুর অঞ্চল। এক সময় এ অঞ্চলে ভাওয়ালের গহীন জঙ্গল ছিল।
দর্শনীয় স্থান
গাজীপুরের বেশলিছু প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হল বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক। প্রচুর দর্শনার্থী এখানে প্রতিদিন ভিড় জমায়। চিন্তা করুন, আপনি একটি মিনিবাসে করে ঘুরছেন আর আপনার চারপাশে উন্মুক্ত পরিবেশে বাঘ, ভাল্লুক, সিঙ্ঘ সহ নানারকম প্রানী। চলন্ত বাসের সামনে হঠাৎ রাস্তা আটকে দাড়াল বিশাল এক সিঙ্ঘ। এমনই এক অসাধারন অনুভূতি আপনাকে দেবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। ভ্রমনপিপাসুদের কাছে দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছে ভাওয়ালের জাতীয় উদ্যান। উডযানের ছায়াঢাকা সুনিবিড় পরিবেশ কিছুক্ষনের জন্য হলেও আপনাকে ভুলিয়ে দেবে যে আপনি কনক্রিটের শহরের বাসিন্দা। এছাড়াও লেখক হুমায়ন আহমদের বাড়ি নুহাস পল্লী, সারাহ রিসোর্ট, ভাওয়াল রাজবাড়ি, অঙ্গনা রিসোর্ট, স্প্রিং ভ্যালি রিসোর্ট, আকন্দ পার্ক রিসোর্ট, রাজেন্দ্র ইকো পার্ক প্রভৃতি এ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন
প্রাচীন এ এলাকাটি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ। বেশকিছু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন রয়েছে জেলাটিতে। ভাওয়ালের জমিদার বাড়ি, শ্রীপুরে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী ইন্দ্রাকপুর, বলধার জমিদার বাড়ি, কাপসিয়ার টোক বাদশাহী মসজিদ, পুবাইলের জমিদার বাড়ি, শ্রীফলতলি জমিদার বাড়ি, কপালেশ্বর রাজ শিশু পালের রাজবাড়ি এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
যাতায়াত
ঢাকার প্রায় সকল বাস টার্মিনাল থেকেই নয় বরং শহরের যেকোন জায়গা থেকেই গাজীপুরগামী লোকাল বাস আছে। দিনে-রাতে যেকোন সময় এসব লোকাল বাসে করে গাজীপুরে ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী কিছু লোকাল ট্রনও আছে। আর দেশের উত্তরাঞ্চলের যেসব জেলার সাথে ঢাকার রেল যোগাযোগ আছে সি সব গুলো জেলা থেকেই ট্রেনে গাজীপুর আসা যায়। কারন উত্তরাঞ্চলের সবগুলো ট্রনই গাজীপুর হয়ে ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরেই গাজীপুর ভ্রন সম্ভব। ক্রমবর্ধমান কাজের চাপে পিষ্ট যেসব লোক সামান্য একটু অবসর চান তারা ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুর থেকে।
গাজীপুর স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।
For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |