Other Divisions |
Barisal Division |
Khulna Division |
Chittagonj Division |
Mymensingh |
Rajshahi Division |
|
|
|
|
কিশোরগঞ্জ জেলা
“উজান ভাটির মিলিত ধারা হাওর বাওর মাছে ভরা” জেলা কিশোরগঞ্জ। এটি ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। জেলাটির আয়তন ২৫৬৬ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১২০০ জন। কিশোরগঞ্জের উত্তরে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলা। কিশোরগঞ্জ জেলা ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল কিশোরগঞ্জ সদর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি, কুলিয়ার চর, ভাড়াইল, নিকলী, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, ভৈরব, মিটামইন ও হোসেনপুর উপজেলা। কিশোরগঙ্গের উপদ দিয়ে বয়ে গেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালিনী সহ বেশ কয়েকটি নদী। আর পুরো জেলায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য হাওর ও বাওর।
ইতিহাস ঐতিহ্য:
কিশোরগঞ্জ একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা । বহু পূর্ব থেকে এখানে সুগঠিত অনেক গোষ্ঠী বসবাস করে আসছে যা এখনো বিরাজমান। পুরো উপমহাদেশে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কিশোরগঞ্জ এলাকার বেশ কিছু অঞ্চল প্রাচীন রাজাদের অধিকারে ছিল। এমনকি মোগল সম্রাটের আমলেও এ অঞ্চলের জঙ্গলবাড়ি এবং আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা স্থানীয় রাজাদের অধিকারেই ছিল। ষষ্ঠ শতকে বত্রিসের এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কালক্রমে নন্দকিশোর এর নাম থেকে নন্দ কিশোরগঞ্জ এবং পরবর্তীতে পরিবর্তিত হয়ে কিশোরগঞ্জে রূপান্তরিত হয়। কিশোরগঞ্জে বেশকিছু উপজাতি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে । এদের মধ্যে গারো, হাজং এবং কোচ অন্যতম।
দর্শনীয় স্থান:
বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিশোরগঞ্জ কোন পর্যটন জেলা না হলেও প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে কম নয়। অসংখ্য মনমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পুরো জেলা জুড়ে। কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সর্বপ্রথম যে নামটি উচ্চারিত হয় তা হলো নিকলী হাওর। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত নিকলী উপজেলার অবস্থান। নিকলী ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির মধ্যে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সত্যিই হৃদয় অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। ঢাকা থেকে খুব বেশী দূরে না হওয়ায় ইট পাথর আর কংক্রিটের যাতাকলে পিষ্ট মানুষের জ ন্য এটি হতে পারে আদর্শ এক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। এছাড়াও করিমগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বালিখোলা অত্যন্ত সুন্দর একটি দর্শনীয় স্থান। দুই পাশের বিস্তৃত জলরাশির মধ্য দিয়ে চলমান সরু রাস্তা এবং দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি সত্যিই যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অনুভূতি এনে দেয়। জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে অষ্টগ্রাম হাওড়, নরসুন্দা লেকসিটি, পাগলা মসজিদ, ইটনা হাওর, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, ইটনা শাহী মসজিদ এবং জঙ্গলবাড়ি দুর্গ।
বালিশ মিষ্টি এবং নকশি পিঠা কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার।
যাতায়াত:
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের সূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। কিশোরগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। ঢাকা থেকে প্রচুর বাস প্রতিদিন কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসের ভাড়া ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। আর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকা আটটায় এগারসিন্দুর প্রভাতি এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তনগর ট্রেন কিশড়গঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
তাছাড়া ঢাকা থেকে মাইক্রো কিংবা প্রাইভেট কার ভাড়া করে দিনে গিয়ে আবার দিনের মধ্যেই ফিরে আসা সম্ভব।
কিশোরগঞ্জ স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।
For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |