SolidBangla Home Page

Munshganj District

বাংলা সংবাদপত্র মুন্সিগঞ্জ সংবাদপত্র মুন্সিগঞ্জ সরকারী তথ্য বাতায়ন বাংলা ওয়াজ শুনুন ফ্রিল্যান্স জবস
Dhaka Division
Dhaka
Faridpur
Gopalganj
Madaripur
Kishoregonj
Manikganj
Munshigonj
Narayanganj
Rajbari
Narsindi
Shariatpur
Gazipur
Tangail
Other Divisions
Barisal Division
Khulna Division
Chittagonj Division
Mymensingh Division
Rajshahi Division

মুন্সিগঞ্জ

জেলা দেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের একটি জেলা মুন্সিগঞ্জ। নদী বেষ্টিত জেলাটির আয়তন ৯৫৪ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৬০০ জন। মুন্সিগঞ্জ এর পূর্বে কুমিল্লা এবং চাঁদপুর জেলা যা মুন্সীগঞ্জের সাথে মেঘনা নদী দ্বারা বিভাজিত। পশ্চিমে মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর জেলা যা খরস্রোতা পদ্মা নদীর দ্বারা বিভাজিত। উত্তরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা। জেলার দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খরস্রোতা পদ্মা নদী যার অপর তীরে শরীয়তপুর জেলা। ছয়টি উপজেলা নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা গঠিত। এগুলো হল মুন্সিগঞ্জ সদর, শ্রীনগর লৌহজং টঙ্গীবাড়ী গজারিয়া এবং সিরাজদিখান। মুন্সীগঞ্জের পূর্বনাম ছিল বিক্রমপুর। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে প্রচুর দোতলা টিনের ঘর দেখতে পাওয়া যায় যা খুবই সুদৃশ্য। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একপ্রান্ত মুন্সিগঞ্জ জেলার মধ্যে পরেছে। জেলাটিতে কোন পাহাড় না থাকলেও বেশ কিছু অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ উঁচুতে। প্রচুর মৎস্যজীবীর বসবাসের জেলাটিতে। জেলাটিতে রয়েছে বেশ কিছু শিল্প কারখানা এবং প্রচুর হিমাগার।

ইতিহাস ঐতিহ্য

ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ জেলা মুন্সিগঞ্জ। প্রাচীন বাংলার চন্দ্র, বর্মন এবং সেন রাজাদের রাজধানী ছিল বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলা। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন বাহান্নর ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই অঞ্চলের লোকজন ছিল সরব অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পাক হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জে আক্রমণ করে। এ সময় মুন্সিগঞ্জের তরুণরাও নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে একত্রিত হয়ে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এছাড়াও এ অঞ্চলের সংগ্রামী মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা যুদ্ধ সহ অন্যান্য আক্রমনেও অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। মোঘল শাসনামে মুন্সিগঞ্জের নাম ছিল ইদ্রাকপুর। তৎকালীন সময়ে ইদ্রাক নামের এক ফৌজদারের নামানুসারেই এ নামটি হয়েছিল। ব্রিটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় রামপালের মুন্সী এনায়েত আলী এ অঞ্চলকে তার জমিদারীর অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর নামানুসারেই মুন্সিগঞ্জ নামটির উদ্ভব বলে এ অঞ্চলের লোকজনের ধারনা।

দর্শনীয় স্থান

দর্শনীয় স্থানের জন্য খুব বেশি বিখ্যাত না হলেও বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক স্থান এ জেলাটিতে রয়েছে। মুন্সিগঞ্জের চিত্তবিনোদনের স্থানের তালিকায় প্রথমই রয়েছে মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট। প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর নির্মিত এ রিসোর্টে এক অন্যরকম গ্রামীন পরিবেশের স্বাদ পাওয়া যায়। এখানের কটেজ ও কুটিরগুলোতে নেপালি ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষনীয়। রিসোর্টটিতে প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০ টাকা এবং শিশু কিশোরদের ২০ টাকা দিয়ে। আগত অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে ১০ টি এসি/নন এসি কটেজ। রয়েছে চিতিৎসা কেন্দ্র, নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা, রেস্টুরেন্ট ও বার। জেলাটির অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে মাওয়া রিসোর্ট, পদ্মা রিসোর্ট, জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি যাদুঘর, ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি এবং ইন্দ্রাকপুর কেল্লা। পদ্বার তাজা ইলিশ ভাজা দিয়ে ভাত খেতে চাইলে চলে যেতে পারেন মাওয়া ঘাটে।বিক্রমপুর সুইটস এবং ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন মুন্সিগঞ্জের বিখ্যাত খাবার। যাতায়াত ঢাকার যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ এবং গুলিস্তান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এগুলোর যেকোনটিতে উঠে চলে যেতে পারেন মুন্সিগঞ্জ। ট্রেনে যেতে চাইলে নারায়নগঞ্জ নেমে অন্য কোন বাহনে যেতে হবে। ঢাকার কনক্রিট আর ধুলাবালি থেকে মুক্ত হয়ে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন মুন্সিগঞ্জ থেকে।

যাতায়াত ঢাকার যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ এবং গুলিস্তান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এগুলোর যেকোনটিতে উঠে চলে যেতে পারেন মুন্সিগঞ্জ। ট্রেনে যেতে চাইলে নারায়নগঞ্জ নেমে অন্য কোন বাহনে যেতে হবে। ঢাকার কনক্রিট আর ধুলাবালি থেকে মুক্ত হয়ে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন মুন্সিগঞ্জ থেকে।

মুন্সীগঞ্জ স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।

For any suggestions or comment, please contact us. Thanks