SolidBangla Home Page

Barisal District

বাংলা সংবাদপত্র বরিশালের সংবাদপত্র বরিশালের সরকারী তথ্য বাতায়ন বাংলা ওয়াজ শুনুন ফ্রিল্যান্স জবস
Barisal Division
Barguna
Barishal
Patuakhali
Jhalokati
Pirozpur
Other Divisions
Dhaka Division
Khulna Division
Chittagonj Division
Rajshahi Division
Bangladeshi Links
Bangladeshi Garments
Barisal Newspapers
Bangla Natoks
Bangla Radio Channels
Bangla Televisions
Bangadeshi Gift Shops
Jobs in Bangladesh
Visit Bangladesh
Bangla Magazines
Banks in Bangladesh
Bangladesh Politics
BanglaWaz
Call Bangladesh
Bangla Chat

বরিশাল জেলা

কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বরিশাল জেলা অনেকের মুখেই বাংলার ভেনিস নামে পরিচিত। দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলাটি একটি বিভাগীয় শহর। বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের অন্যতম একটি হটস্পট এটি। বরিশাল নদীবন্দর দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বন্দর। জেলাটির নাম এক সময় ছিল চন্দ্রদ্বীপ। বৃহত্তর বরিশালে রয়েছে একটি সিটি কর্পোরেশন এবং ১০ টি উপজেলা। উপজেলাগুলো হল- আগৈলঝরা, বাকরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, গৌরনদী, হজলা, বরিশাল সদর, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী এবং উজিরপুর। বরিশাল জেলার উত্তরে চাঁদপুর, মাদারীপুর এবং শরিয়তপুর জেলা, দক্ষিণে ঝালকাঠি, বরগুমা এবং পটুয়াখালী জেলা, পূর্বে লক্ষীপুর জেলা, মেঘনা নদী, এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং গোলালগঞ্জ জেলা। বরিশাল জেলার আয়তন ২৭৯১ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৩০ জন। বেশ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়েছে বরিশাল জেলার উপর দিয়ে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, কালাবাদর, তেতুলিয়া এবং মেঘনা। এছাড়াও জেলাটিতে রয়েছে প্রচুর খাল এবং বিল।

ইতিহাস ঐতিহ্য

১৭৯৭ সালে তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপ এবং আশেপাশের কিছু এলাকা নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত। তবে ১৮০১ সালে জেলাটির সদর দপ্তর বর্তমান বরিশালে স্থানান্তর হওয়ার পর এ এলাকা ধীরে ধীরে বরিশাল নামে পরিচিতি পেতে থাকে। এর নাম বরিশাল হওয়া নিয়ে বেশ কিছু মতামত প্রচলিত আছে। তবে এককালে এখানের নদী ও খালগুলোতে প্রচুর শাল মাছ পাওয়া যেত বলে এ অঞ্চলের নাম বরিশাল হয় বলে ধারনা করা হয়। “আইতে শাল যাইতে শাল তার নাম বরিশাল” এ প্রবাদটি এই মতামতকে আরও শক্তিশালী করে। একসময় পুরো বাকেরগঞ্জ জেলা বঙোপসাগরের সাথে যুক্ত ছিল। কথিত আছে ঐ সময় বাকেরগঞ্জ সংযুক্ত সাগরে মাঝরাতে এক রহস্যময় কামানের শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। একজন ইংরেজ চিকিৎসক প্রথম এটি লক্ষ্য করেন এবং নাম দেন গানস অব বরিশাল। অনেকেই এ শব্দকে জলদস্যুদের বন্দুকের গুলির শব্দ বলে উড়িয়ে দিলেও সেই রহস্যময় শব্দের রহস্যভেদ কেউই করতে পারে নি। জেলা গঠনের পর প্রথমদিকে এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বৃহত্তর বরিশালকে আলাদা বিভাগ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের লোকজনের লোকজন স্বতঃস্পুর্তভাবে অংশগ্রহন করে। বরিশাল জেলায় প্রচুর পেয়ারা উৎপন্ন হয় যা সারা বাংলাদেশেই বিক্রি হয়। এখানকার ঝালকাঠি এবং পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী স্থানের ভাসমান পেয়ারা বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান।

দর্শনীয় স্থান

বাংলার ভেনিশ খ্যাত বরিশাল জেলাটি বেশ কিছু দর্শনীয় এবং ঐতিসাহিক স্থানে পরিপূর্ন। জেলার অন্যতম কিছু দর্শনীয় স্থান হল- শহরের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত শংকর মঠ, শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক বিবির পুকুর, বরিশাল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাটুকিয়া জমিদার বাড়ি, উজিরপুর উপজেলায় সাতলা গ্রামে অবস্থিত পদ্মবিল, বরিশাল সদরের স্বরুপকাঠি গ্রামে প্রায় ২৭ একর জমি জুড়ে অবস্থিত দুর্গাসাগর দিঘী, উজিরপুর উপজেলায় অবস্থিত এশিয়ার অন্যতম নয়নাভিরাম মসজিদ শুটিয়া জামে মসজিদ ইত্যাদি। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দধি অনেক বেশি সুস্বাদূ।

যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিইয় মাধ্যম হল নপদীপথ। ঢাকার সদরঘাট থেকে কীর্তনখোলা, সুন্দরবন, সুরভী এবং গ্রিন লাইনের বেশ কিছু বিলাশবহুল জাহাজ প্রতিদিন বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর সড়কপথে যেতে চাইলে ঢাকার সায়েদাবাদ এবং গাবতলী কিংবা টেকনিক্যাল থেকে থেকে গড়িনলাইন, সাকুরা, ঈগল, হানিফ মেঘনাসহ বেশকিছু এসি এবং নন এসি বাস ছেড়ে যায়। বাসগুলো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া অথবা শুমিলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটের নদী পারাপার হয়ে বরিশাল যায়। আর এসব ডিরেক্ট বাসে যেতে না চাইলে গুলিস্তান, সায়েদাবাদ কিংবা যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া ঘাটগামী যেকোন লোকাল বাসে ঘাট পর্যন্ত এসে লঞ্চ বা স্পিড বোটে নদী পার হয়ে বরিশাল যাওয়ার জন্য অনেক লোকাল বাস পাওয়া যায়। পথে আপনার সঙ্গী হতে পারে মাওয়া ঘাটের সুস্বাদু ইলিশ ভাজা আর ইলিশের লেজ ভর্তা।

বরিশালরে স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।

For any suggestions or comment, please contact us. Thanks