Patuakhali District |
বাংলা সংবাদপত্র | পটুয়াখালীর সংবাদপত্র | পটুয়াখালীর সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
পটুয়াখালী জেলা পটুয়াখালী জেলাকে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত করেছে এর অন্তর্গত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এ কুয়াকাটার কারনেই পটুয়াখালী জেলা পরিচিতি পেয়েছে সাগরকন্যা নামে। পটুয়াখালী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। পটুয়াখালী জেলার আয়তন ৩২২০ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৪৮০ জন। আটটি উপজেলা নিয়ে পটুয়াখালী জেলা গঠিত। এগুলো হল- পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া, গলাচিপা, দাশমিনা, দুমকি, বাউফল, মির্জাগঞ্জ এবং রাঙ্গাবালী। পটুয়াখালীর উত্তরে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা। পটুয়াখালীর অন্তর্গত কুয়াকাটা শুধু বাংলাদেশ নয় বরং বহিঃবিশ্বেও একটি পরিচিত নাম। এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা যায়। ইতিহাস ঐতিহ্য এক সময় এ অঞ্চল বনাঞ্চলে পূর্ন ছিল। পটুয়াখালী জেলার বয়সও খুব বেশি না। দেড়শ বছরের মত। ১৮০৭ সালে বরিশালের জর্জ ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন মিঃ বেটি। তিনি এ অঞ্চলের বনাঞ্চল পরিস্কার করে বসবাসের উপযোগী করার নির্দেশ দেন। ১৮১২ সালে পটুয়াখালী অঞ্চলকে নিয়ে গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। ১৮৬৭ সালে পটুয়াখালীকে বরিশাল জেলার (তৎকালীন বাকেরগঞ্জ) অধীনে একটি মহকুমা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এবং ১৯৬৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পটুয়াখালীকে জেলা হিসাবে ঘোষনা করা হয়।
পটুয়াখালী জেলার নামকরন কিভাবে হল তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। এ বিষয়টা নিয়ে কেউ স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন নি। তবে এ অঞ্চলের বিখ্যাত কবি দেবেন্দ্রনাথ দত্তের পুরানো কবিতা “পাতুয়ার খাল” থেকে পটুয়াখালী নামটি এসেছে বলে অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন। দর্শনীয় স্থান পটুয়াখালির দর্শনীয় স্থান বলতেই বোজাহ্য কুকাটা সমুদ্র সৈকত। প্রায় আঠার কিলোমিটার দীর্ঘ এ সৈকরে একই দিনে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এ সৈকতে রয়েছে লেবুর চর, তিন নদীর মোহনা, রাখাইন পল্লী, লাল কাকড়ার চর, ঝাউবন এবং কাছাকাছি রয়েছে দুইশত বছরের পুরানো নৌকার ভগ্নাংশ। মোটরবাইক ভাড়া নিয়ে এসব স্পটগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া পটুয়াখালী জেলার আরও কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- মির্জাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ, কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার পাশে অবস্থিত সীমা বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার পূর্ব দিকে গঙ্গামতীর চরের পাশে অবস্থিত চর বিজয়, নদী ও পানিসম্পদ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মিত পানি যাদুঘর, সুন্দরবনের বর্ধিত অংশ ফাতরার চর প্রভৃতি। যাতায়াত ঢাকা থেকে সাকুরা পরিবহনের কয়েকটি বাস সরাসরি পটুয়াখালী যায়। এছাড়া বরিশালগামী বিলাসবহুল যেকোন লঞ্চে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে পটুয়াখালীগামী বাস পাওয়া যায়। বরিশাল পর্যন্ত বাসে গিয়েও পটুয়াখালী যাওয়া যায়। পর্যটন জেলা হয়ার পরও এখানের যাতায়াত ব্যবস্থা একটু খারাপ। তবে অভ্যন্তরীন সড়কগুলো খুবই সুন্দর। কুয়াকাটায় থাকার জন্য অনেক বিলাসবহুল এবং মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে। তবে এসব হোটেলে ওঠার আগে অবশ্যই দামাদামি করে নেবেন। তবে পর্যটন মৌসুমে গেলে দামাদামি করে অবশ্য খুব লাভ হবে না। পটুয়াখালীর স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |