SolidBangla Home Page

Bhola District

বাংলা সংবাদপত্র ভোলার সংবাদপত্র ভোলার সরকারী তথ্য বাতায়ন বাংলা ওয়াজ শুনুন ফ্রিল্যান্স জবস
Barisal Division
Barguna
Barishal
Patuakhali
Jhalokati
Bhola District
Pirozpur
Other Divisions
Dhaka Division
Khulna Division
Chittagonj Division
Rajshahi Division
Bangladeshi Links
Bangladeshi Garments
Vola Newspapers
Bangla Natoks
Bangla Radio Channels
Bangla Televisions
Bangadeshi Gift Shops
Jobs in Bangladesh
Visit Bangladesh
Bangla Magazines
Banks in Bangladesh
Bangladesh Politics
BanglaWaz
Call Bangladesh
Bangla Chat

ভোলা জেলা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন সর্ব বৃহৎ দ্বীপ ভোলা। দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলাটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত। ভোলার আয়তন ৩৪০৩ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫২০ জন। সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দ্বীপ জেলা ভোলা। এগুলো হল ভোলা সদর, তজুমুদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, মনপুরা, লালমোহন এবং চরফ্যাশন। ভোলার ভোলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে মেঘনা নদী এবং নদীর ওপারে বরিশাল জেলা, পূর্বে মেঘনা নদী এবং তার ওপারে নোয়াখালী আর লক্ষীপুর জেলা এবং তেতুলিয়া নদীর ওপারে বরিশাল এবং পটুয়াখালী জেলা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জেলাটিকে কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ আখ্যা দেয়া হয়েছে। ভোলার পূর্বনাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর।

ইতিহাস ঐতিহ্য

সম্পুর্ন পলিগঠিত একটি জেলা ভোলা। পদ্মা, যমুনা আর ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকতায় সাগর মোহনায় গড়ে উঠেছে ভোলা। ধারনা করা হয় ১২৩৫ সালের দিকে চর পরা শুরু হয় এবং ১৩০০ সালের দিকে এখানে মানুষ চাষাবাদ শুরু করে। ১৫০০ সালের দিকে মগ জলদস্যেদের নজর পরে এ অঞ্চলের উপর। তখন তারা দ্বীপটিকে ঘাটি বানিয়ে আশেপাশের এলাকায় লুটপাটের রাজ্য কায়েম করে। এ সময় তারা এ এলাকার অধিবাসীদের থেকে খাজনা এবং করের নামে নানা রকমভাবে জুলিম করে অর্থ আদায় করত। হয়ত এ প্রেক্ষাপট থেকেই রচিত হয়েছিল সেই বিখ্যাত ছড়া “খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়াল বর্গী এল দেশে’। আর মগের মুল্লুক শব্দটিও এখান থেকেই উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি ছিল। ১৮৬৯ সালের আগ পর্যন্ত ভোলা নোয়াখালীর অধীনে ছিল। ১৮৬৯ সালে ভোলাকে বরিশাল জেলার অধীনে নেয়া হয় এবং কালক্রমে বরিশাল বিভাগের অধীনে একটি স্বতন্ত্র জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

দর্শনীয় স্থান

দ্বীপ জেলা হওয়ার কারনে পুরো ভোলাই একটি দর্শনীয় স্থান। জেলার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের হাতছানি। তারপরও কিছু স্পেশাল স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের আকর্ষন করার মত। এর মধ্যে অন্যতম হল মনপুরা দ্বীপ। সুজলা সুফলা বৃক্ষরাজিতে পরিপূর্ন এ দ্বীপটি আসলেই অসাধারন। এ দ্বীপেই হয়েছিল বাংলা চলচিত্রের এক অসামান্য সৃষ্টি মনপুরা সিনেমার শুটিং। মূলত মনপুরা সিনেমার মাধ্যমেই এ দ্বীপটি একটি সাধারন দ্বীপ থেকে পর্যটকদের পছন্দের স্থানে পরিনত হয়। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মেঘনা নদীর অববাহিকতায় অবস্থিত চর কুকরী মুকরী, জ্যাবক টাওয়ার, স্বাধীনতা যাদুঘর প্রভৃতি।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে ভোলা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল নদীপথ। ঢাকার সদরঘাট থেকে এম ডি ভোলা, এম ডি কর্নফুলী, এম ডি ফরহাদ সহ কয়েকটি লঞ্চ সরারসরি ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া সড়কপথে আসতে চাইলে বরিশাল পর্যন্ত এসে আবার সি ট্রাকে করে ভোলা আসতে হবে। সাধারনত বরিশাল থেকে ভোলার বেশরভাগ সি ট্রাকই দুপুরের আগে ছেড়ে যায়। সোজা কথায়, ভোলা আসতে হলে আপনাকে নদীপথ পারি দিতেই হবে। কারন মনে রাখতে হবে যে এটি একটি দ্বীপ।

ঝালকাঠি স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।

For any suggestions or comment, please contact us. Thanks