Narayanganj District |
বাংলা সংবাদপত্র | নারায়ণগঞ্জ সংবাদপত্র | নারায়ণগঞ্জ সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
নারায়ণগঞ্জ জেলা অত্যন্ত প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ জেলা নারায়ণগঞ্জ। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত জেলাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র জেলা । জেলাটির আয়তন মাত্র ৬৮৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪০০০ জন। বাংলাদেশের শিল্প ক্ষেত্রের উন্নতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। বেশ কিছু শিল্প কারখানা রয়েছে জেলাটিতে। রয়েছে একটি বিখ্যাত নদী বন্দর। প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁ এ জেলাতেই অবস্থিত। জনবহুল এ জেলাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িইয়া, ঢাকা, গাজীপুর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা। নারায়ণগঞ্জ জেলায় রয়েছে পাঁচটি উপজেলা। এগুলো হল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, বন্দর উপজেলা, আড়াইহাজার উপজেলা রূপগঞ্জ উপজেলা এবং সোনারগাঁও উপজেলা। নারায়ণগঞ্জ জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী । ২০১১ সালে নারায়নগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
ইতিহাস ঐতিহ্য ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জকে একটি স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শহর। তবে এর খ্যাতি নারায়ণগঞ্জ নামে ছিল না। বরং সোনারগাঁ একে অনেক বেশি বিখ্যাত করেছিল। মধ্যযুগের মুসলিম শাসকদের শাসনামলে অধিকাংশ সময় সোনারগাঁ ছিল বাংলার রাজধানী। সোনার গাঁয়ে পানাম নগরী তৎকালীন সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম ছিল নদীপথ। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত হযোয়ায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অপেক্ষাকৃত সহজতর। এ কারণে ঐ সময় নারায়ণগঞ্জ মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। বহু পূর্ব থেকেই নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের মানুষ ছিল সংগ্রামী। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের ছিল সক্রিয় অংশগ্রহন। আঠারো শতকের আগে এ অঞ্চলে মূলত সোনারগাঁ নামে পরিচিত ছিল। তৎকালীন কোন প্রমাণপত্র নারায়ণগঞ্জ নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়নি। যতদূর জানা যায় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে কোন এক হিন্দু সাধক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা কিনে নিয়েছিলেন। তিনি তাদের প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যার পাড়ে মার্কেটগুলো কে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। এ নারায়নের নাম অনুসারে হয়তো এ অঞ্চলের নাম নারায়ণগঞ্জ রাখা হয়েছিল। ঈশা খাঁর বাড়ী
দর্শনীয় স্থান নারায়নগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পানাম নগর বা পানাম সিটি। সোনারগাঁও থানার আওতাধীন এ জায়গাটি একই সাথে একটি ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থান। পানামের প্রতিটি বিল্ডিং এর নির্মাণ কৌশল রয়েছে ভিন্নতা। প্রতিটি স্থাপনায় রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীরা সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই পানামের বিশাল গেটটি বন্ধ করে দিতেন। ঐতিহাসিক ধারা বজায় রাখতে আজও এ নিয়ম চালু রয়েছে। সন্ধার পরে কোন দর্শনার্থীকে এখানে অবস্থান করতে দেয়া হয় না। লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর পানাম নগরের অন্যতম প্রধান আকর্ষন। নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে জিন্দা পার্ক, মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি, কাইকারটেক হাট, মায়াদ্বীপ, বাংলার তাজমহল এবং সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট। যাতায়াত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদসহ যেকোন বাস টার্মিনাল থেকে নারায়নগঞ্জগামী এসি এবং নন এসি বাস পাওয়া যায়। তাছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন অনেকগুলো ট্রেন নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত বেসরকারী ব্যবস্থাপনায়ও ট্রন চলাচল করে। এ ট্রেনগুলো কমলাপুরের শহরতলী প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |