Khagrachhari District |
বাংলা সংবাদপত্র | বান্দরবন সংবাদপত্র | বান্দরবন সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি হল খাগড়াছড়ি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এ জেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। খাগড়াছড়ি জেলার আয়তন ২৬৯৯ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৯০ জন। খাগড়াছড়ি জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে রাঙ্গামাটি জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা এবং উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। মোট নয়টি উপজেলা নিয়ে খাগ্রাছড়ি জেলা গঠিত। এগুলো হল- খাগ্রাছড়ি সদর, দিঘীমালা, শুইমারা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি এবং রামগড়। খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নদী হল ফেনী নদী। ইতিহাস ঐতিহ্য খাগ্রাছড়ি বাংলাদেশের অন্যতম একটি দুর্গম জেলা। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলো এক সময় ঘন বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত ছিল। কোন মানুষের বসবাসের পরিবেশ এখানে ছিল না। ধীরে ধীরে এখানে কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করা শুরু করে। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন সমতল ভূমির লোকদের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। যার ফলে তাদের খাদযাভযাস, চাল চলন এবং সংস্কৃতিতে একটা স্বাতন্ত্র গড়ে উঠতে থাকে। প্রাচীন ও মধ্যযুগে বিভিন্ন সময় অনেক শাসক এ অঞ্চলগুলো তাদের দখলে নিতে প্রায়াস চালালেও বেশিরভাগ সময়ই তারা ব্যর্থ হয়। বৃটিশ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্ব প্রথম পাহাড়ি অঞ্চলগুলো পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিতে সক্ষম হয়। তিনটি পার্বত্য জেলা নিয়ে ত্যারা চিটাগাং হিল টেকিস বা পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠন করে। ১৮৬০ সালে বৃটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠন করে। স্বাধীনতার পরে ১৯৮১ এবং ১৯৮৩ সালে দুই দফায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙ্গে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন এবং খাগড়াছড়ি জেলা আলাদাভাবে আত্মপ্রকাশ করে। দর্শনীয় স্থান পার্বত্য জেলাগুলোর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অসাধারন এক সৌন্দর্যের ছটা। কোথাও সুউচ্চ পাহাড় আর কোথাও মন ভোলানো ঝর্নার পানির টলমলে স্বচ্ছ জল। তার উপর আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তা ধরে এগিয়ে চলার অন্যরকম এক রোমাঞ্চ। এ জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হল আলুটিলা গুহা, মানিকছড়ি মং রাজবাড়ী, তৈদুছড়া ঝর্না, হাতিমাথা, নিউজিল্যান্ড পাড়া, রিসাং ঝর্না এবং মায়াবিনী লেক। এছাড়া পাশের জেলার অন্যতম ভ্রমন স্পট সাজেক ভযালি যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীমালা হয়ে। এখান থেকে প্রতিদিন দুইবার সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে সাজেকগামী চাঁদের গাড়ী এবং অন্যান্য গাড়ী ঢুকানো হয়। যাতায়াত ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলার দূরত্ব ২৭০ কিলোমিটার। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের বিপরীত দিক থেকে শান্তি পরিবহনের এসি এবং নন এসি বাস সরাসরি খাগড়াছড়ি যায়। এছাড়া ঢাকার অনযান্য টার্মিনালেও খাগড়াছড়ি যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। পার্বত্য জেলায় প্রবেশের সাথে সাথেই এখানকার অপূর্ব উচু-নিচু রাস্তাগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে। খাগড়াছড়ি স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |