Chittagong District |
বাংলা সংবাদপত্র | চট্টগ্রাম সংবাদপত্র | চট্টগ্রাম সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে পরিচিত চট্টগ্রাম জেলা। উন্নত শিল্প, বিশ্বমানের বাণিজ্য আর অপরূপ সৌন্দর্য এ জেলাটিকে বাংলাদেশের মধ্যে অনন্য করে রেখেছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল বহূ পূর্ব থেকেই সারা বিশ্বের কাছে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের পরিচিতির এক অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে যার মূলে ছিল এ জেলার সাথে সারা পৃথিবীর সামুদ্রিক যোগাযোগের সুব্যবস্থা। ভৌগলিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বভাবে অবস্থিত। চট্টগ্রাম জেলার আয়তন ৫২৯৩ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৫০০ জন। উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং প্রচুর কর্মের সুব্যবস্থার কারনে এ জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব এত বেশি। চট্টগ্রামের পূর্বে বান্দরবন, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলা, পশ্চিমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, নোয়াখালী জেলা এবং বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা এবং উত্তরে ফেনী ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। চট্টগ্রামে রয়েছে একটি সিটি কর্পোরেশন এবং ১৫ টি উপজেলা। উপজেলাগুলো হল- আনোয়ারা, কর্নফূলী, চন্দনাইশ, পটিয়া, ফটিকছড়ি, বাশখালী, বোয়ালখালী, মীরসরাই, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, সন্দীপ, সাতকানিয়া, সীতাকুন্ড এবং হাটহাজারী। শিল্প আর বাণিজ্যের পাশাপাশি শিক্ষা-দীক্ষায়ও এ জেলা অনেক বেশি উন্নত। ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সব বেশি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি সরকারী কলেজ সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে চট্টগ্রামে। কর্নফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এ জেলাটি সত্যিই বাংলাদেশের বাকি ৬৩ টি জেলা থেকে আলাদা। ইতিহাস ঐতিহ্য বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা চট্টগ্রাম। বহূ পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলের সাথে পৃথিবীর বহূ অঞ্চলের সমুদ্রপথে যোগাযোগ ছিল। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রথম গঠিত জেলা যা ১৬৬৬ সালে গঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে তিনটি পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার এবং আশেপাশের বেশ কিছু অঞ্চল নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা বিভিন্ন সময় ভেঙ্গে বেশ কিছু জেলা গঠিত হয়। সাগরের পারে অবস্থিত হওয়ার এবং জেলার পরিবেশ বিশেষভাবে শিল্পক্ষেত্রের জন্য উপযোগী হওয়ার বহূ পূর্ব থেকেই অ অঞ্চলে বেশ কিছু বিশ্বমানের শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছিল। দর্শিনীয় স্থান একদিকে উন্নত শিল্প আর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে উন্নতমানের অনেক দর্শনীয় স্থান আর অন্যদিকে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- এ দুইয়ের কম্বিনেশন এ জেলাকে সবকিছু থেকে আলাদা করে রেখেছে। চট্টগ্রাম জেলার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অসাধারন এক সৌন্দর্যের হাতছানি। চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থানের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।এ সমুদ্র সৈকতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এখানের পানি একটু সবুজভ। জেলার অন্যান্য আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থানের মশ্যে রয়েছে চন্দ্রনাথ পাহাড়, মহামায়া লেক, সীতাকুন্ডের পাহাড় এবং সীতাকুন্ড ইকোপার্ক, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, সীতাকুন্ডের কুমিরা ঘাট, কালুরঘাট ব্রিজ, চুনতি অভয় আশ্রম, চালন্দা গিরিপথ, পারকি সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লালদিঘী, সোনাইছড়ি ট্রেইল এবং সহস্রধারা ঝর্না। যাতায়াত দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খযাত চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত। শাহ আমানত বিমানবন্দরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে চট্টগ্রামে যাতায়তের ব্যবস্থা আছে। দেশের প্রতিটি পরিবহন কোম্পানিই তাদের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাসগুলো চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের উলটো দিক থেকে গ্রীন লাইন পরিবহনের এসি বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছারাও সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, মহাখালী, গাবতলী সহ সব গুলো স্পট থেকেই চট্টগ্রামগামী বিলাসবহুল, মাঝারি এবং নিম্নমানের বাস পাওয়া যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তাছাড়া আকাশপথেও যাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |