Pabna District |
বাংলা সংবাদপত্র | পাবনা সংবাদপত্র | পাবনা সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা পাবনা। কেলায় অবস্থিত বিখ্যাত মানসিক হাসপাতালের জন্য সারা দেশবাসীর কাছে জেলাটি খুব বেশি পরিচিত। জেলাটিকে ঘিরে রয়েছে সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া এবং নাটোর জেলা। পাবমার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মা এবং যমুনা নদী। জেলার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে পদ্মা এবং যমুনা নদী একসাথে মিলিত হয়েছে। ৯ টি উপজেলা এবং ১১ টি থানা নিয়ে গঠিত বৃহদাকারের এ জেলাটির আয়তন ২৩৭১ বর্গ কিলোমিটার এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১২০০ জন। ৯ টি উপজেলা হল- পাবনা সদর, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ইশ্বরদী, ফরিদপুর, বেড়া, ভাঙ্গুড়া, সাঁথিয়া এবং সুজানগর। ১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর জেলা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে জেলাটির বেশিরভাগই ছিল রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত। আর কিছু কিছু অংশ ছিল যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত। তৎকালীন সময় এ অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক। সরকারী কর্মচারীর বড় অভাব ছিল। সুযোগ পেয়ে স্থানীয় জমিদার এবং মাফিয়া গোষ্ঠী জনগনের উপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালাত। আর নিজেদের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে শাসকগোষ্ঠীও এসব জুমুল নির্যাতন প্রকাশ করত না। ১৮২৮ সালে কোম্পানি সরকার এ অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য একজন জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় পাবনা পৃথক জেলা হিসাবে মর্যাদা লাভ করে। পাবনা নামের উদ্ভব সম্পর্কে বিশেষ ভাবে কিছু জানা যায় না। তবে বিভিন্ন মতবাদ আছে। প্রত্নতাত্মিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়ে থাকতে পারে। তবে সাধারণ বিশ্বাস পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোত ধারার নামানুসারে এলাকার নাম হয় পাবনা।
পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলায় প্রায় ৩০৯ একর জমির উপর ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইপিজেট যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। দর্শনীয় স্থান বৃহদাকারের এ জেলাটিতে প্রচুর দর্শনীয় স্থান এবং বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ইশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত পাকশী রিসোর্ট, লালন শাহ ব্রিজ এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও সুজানগরের গজনার বিল, ভাঙ্গুড়ার জোড়া বাংলা মন্দির, চাটমোহরের শাহী মসজিদ, বেড়ার তের জমিদার বাড়ি, ইশ্বদরীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষনা কেন্দ্র এবং ইশ্বরদী বিমানবন্দর অন্যতম।
এছাড়াও পাবনার বিখ্যাত মানসিক হাসপাতালও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। রাত কাটানোর জন্য মোটামোটি সাধ্যের মধ্যে বেশ কিছু হোটেল ও রেস্ট হাউজও রয়েছে এখানে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পাবনার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত। ইশ্বরদীতে অবস্থিত বিমানবন্দরে পূর্বে ঢাকা থেকে সপ্তাহে দুইদিন বিমান চলাচল করত। বর্তমানে অবশ্য বিমানবন্দরটি বন্ধ রয়েছে। পাবনা জেলায় দশটি রেলস্টেশন রয়েছে যার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন রুটে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। আর ঢাকা থেকে পাবনাগামী বাসগুলো যমুনা সেতু হয়ে যায়। পাবনার অভ্যন্তরীন যাতায়াত ব্যবস্থাও বেশ উন্নত। তাছাড়া নদীপথেও পাবনার কিছু কিছু অঞ্চলে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। পাবনা স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |