Naogaon District |
বাংলা সংবাদপত্র | নওগাঁ সংবাদপত্র | নওগাঁ সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা নওগাঁ। প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ এ জেলাটির আয়তন ৩৪০৫ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৬০ জন। জেলাটির উত্তরে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর, দক্ষিণে বাংলাদেশের নাটোর ও রাজশাহী জেলা, পূর্বে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা এবং পশ্চিমে চাপাইনবাবগঞ্জ এবং ভারতের মালদহ। নওগাঁ জেলায় মোট ১১টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হল- নওগাঁ সদর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর, পোরশা, সাপাহার, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, আত্রাই এবং রানীনগর উপজেলা। বেশ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়েছে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে। এদের মধ্যে যমুনা ও আত্রাই অন্যতম। ইতিহাস ঐতিহ্য নওগাঁ নামটির উৎপত্তি হয়েছে নও (যার অর্থ নতুন; একটি ফারসি শব্দ) এবং গাঁ (যার অর্থ গ্রাম)। এর অর্থ দাঁড়ায় নতুন গ্রাম। আত্রাই নদীর অববাহিকায় নদীবন্দর ঘিরে যে নতুন জনবসতি গড়ে উঠেছিল তাই ঐ সময় নওগাঁ নামে পরিচিতি পায়। অনেক ছোট-বড় নদীর মিলনমেলা এ নওগাঁ জেলা। বহূ পূর্ব থেকেই এ এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠেছিল। বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাসও রয়েছে এ এলাকায়। এদের মধ্যে মাল, পাহাড়িয়া এবং কুর্মি অন্যতম। নদী অববাহিকতায় হওয়ার কারনে এ অঞ্চলের অর্থনীতি বহু পূর্ব থেকেই প্রতক্ষ্যভাবে ক্রিষির উপর নির্ভরশীল। ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়পুর বিহারের অস্তিত্ব মূলত প্রমান করে যে এ অঞ্চলে একসময় বৌদ্ধ ধর্মের লোকদের আধিপত্য ছিল।
১৯৮৪ সালের ১ মার্চ জেলা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটি অবিভক্ত রাজশাহীর একটি মহকুমা ছিল। দর্শনীয় স্থান। নওগাঁ একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ জেলা। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য নওগা জেলার সবচেয়ে পছন্দের স্থান হল পাহাড়পুর বিহারের ধ্বংসাবশেষ। খুব বেশি দর্শনীয় না হলেও বিহারটির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের লেখনী। নওগাঁ জেলার বালিয়াগাছী উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে মান্দা উপজেলায় অবস্থিত সাড়ে চারশ বছরের পুরানো কুসুম্বা মসজিদ, ধামরাইহাট উপজেলার আলতাদিঘী, ধামরাইহাট উপজেলার জগন্দর বিহার, বলিহার উপজেলায় অবস্থিত বলিহার রাজবাড়ী এবং জেলা শহরে অবস্থিত ডানা পার্ক। যাতায়াত নওগাঁ জেলায় যাতায়াতের একমাত্র উপায় সড়কপথ। তবে ট্রেনে জয়পুরহাট কিংবা রাজশাহী পর্যন্ত গিয়ে যাওয়া যায় যা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। ঢাকার গাবতলী এবং মহাখালী বাস টার্মিনালে নওগা যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীন যোগাযোগের জন্য রিক্সা, অটোরিক্সা এবং ভ্যান রয়েছে। নওগাঁর স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |