Panchagarh District |
বাংলা সংবাদপত্র | পঞ্চগড় সংবাদপত্র | পঞ্চগড় সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
পঞ্চগড় জেলা ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া’ কথাটি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ওষুধ বিক্রেতা পর্যন্ত সবার মুখেই প্রতিনিয়ত শোনা যায়। আজ আমরা সামান্য কিছু লিখতে বসেছি সেই টেকনাফ আর তেতুলিয়ার তেতুলিয়া সম্পর্কে। ঠিক তেতুলিয়া সম্পর্কে নয়। তুতুলুয়া যেই জেলাটিতে অবয়ারহিত সেই জেলা অর্থাৎ পঞ্চগড় সম্পর্কে। এটি বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সর্বশেষ জেলা আর এর উত্তর পশ্চিম দিকের সর্বশেষ উপজেলার নাম তেতুলিয়া। দেশের উত্তর পশ্চিম কর্নারে অবস্থিত এ জেলাটি রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। জেলাটির আয়তন ১৪০৪ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭০০ জন। পঞ্চগড়ের পূর্বে নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলা, উত্তরে ভাততের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর এবং পূর্নিমা জেলা, উত্তর-পশ্চিমে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা। পাঁচটি উপজেলা নিয়ে পঞ্চগড় জেলাটি গঠিত। এগুলো হল- পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী, দেবীগঞ্জ, বোদা এবং তেতুলিয়া। পঞ্চগড় জেলার আশপাশ এবং ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে অনেকগুলো নদ-নদী। এগুলর মধ্যে অন্যতম হল করতোয়া, তালমা, চাওয়াই, গঙ্গা, কুরুম, মরা তিস্তা, আত্রাই, ঘোরামারা, মহানন্দা প্রভৃতি। ইতিহাস ঐতিহ্য পঞ্চগড় বাংলাদেশদের অন্যতম একটি প্রাচীন জনপদ। বর্তমানকালের মত প্রাচীনকালেও এ অঞ্চলটি ছিল সীমান্ত অঞ্চল। প্রাচীনকালে বিভিন্ন সময় এ অঞ্চলটি প্রাগজোতিষ, কামরূপ, কামডা, কুচবিহার এবং গৌঢ় রাজ্যের শাসনাধীন ছিল। ১২০৪ সালের দিকে মুসলিম সেনাপতি ইখতিয়ারুত্তিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজি আশেপাশের কিছু অঞ্চলের সাথে এ অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাছাড়া প্রখ্যাত মুসলিম শাসক সুলতান জাজালুদ্দিন ফতেহ শাহ, সুলতান বারবক শাহ, শেহশাহ, খুররম হান প্রভৃতি মনিষীদের ইতিহাস জড়িয়ে আছে পঞ্চগড় জেলার ইতিহাসের সাথে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পঞ্চগড় ছিল দেশের ৪টি মুক্ত অঞ্চলের মধ্যে একটি। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এ স্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় পরিকল্পনা করা হত। উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর প্রথমে পঞ্চগড়কে ঠাকুরগাঁও মহকুমার একটি থানা হিসাবে ছিল। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত করা হয়। দর্শনীয় স্থান সীমান্তবর্তী এ জেলাটিতে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তেতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। তাছাড়া চা বাগানের কথা শুনলেই আমাদের সর্বপ্রথম সিলেট কিংবা মৌলভীবাজারের কথা মনে হলেও পঞ্চগড় জেলাতেও চা বাগান রয়েছে। এ চা বাগানগুলো একটু অন্য ধরনের। এগুলো সমতলের চা বাগান। এছাড়াও পঞ্চগড় সরকারী মহিলা কলেজে স্থাপিত বাংলাদেশের একমাত্র পাথরের যাদুঘর রকস মিউজিয়াম, আটোয়ারী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাওিক নিদর্শন মির্জাপুর শাহী মসজিদ, জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহারাজার দিঘী অন্যতম। তাছাড়া তেতুলিয়া থেকে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার চুড়া দেখা যায়। যাতায়াত ঢাকা থেকে নাবিল এবং হানিফ পরিবহনের বাসে পঞ্চগড় যাওয়া যায়। আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ (নন এসি)। বাসগুলো সাধারনত গাবতলী এবং মহাখালী থেকে ছেড়ে যায়। পঞ্চগড় স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |