Kushtia District |
বাংলা সংবাদপত্র | কুষ্টিয়া সংবাদপত্র | কুষ্টিয়া সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত এবং সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষার অঞ্চল। খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি বৃহতর জেলা। কবিগুরু রঈন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন শাহ, মীর মোশাররফ হোসেনসহ বহু গুণী মানুষের পূণ্যভূমি এবং বহু ঐতিহাসিক স্মৃতি সমৃদ্ধ জেলা কুষ্টিয়া। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্তর্গত জেলাটির আয়তন ১৬২১ বর্গ কিলোমিটার। জেলাটিকে ঘিরে রয়েছে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, নাটোর ও রাজশাহী জেলা। জেলাটির কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সাথে সংযুক্ত। শুস্ক আবহাওয়ার এ জেলাটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমান একটু কম। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এ জেলাটি পূর্বে নদীয়া জেলার অংশ ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে কুষ্টিয়ায় একটি নদীবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬০ সালে সরাসরি কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেললাইন প্রতিষ্ঠিত হয়। ভৌগলিক পরিবেশ এবং যোগাযোগের সুবিধার কারনে এরপরই কুষ্টিয়া জেলায় কার্যত শিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়। তৎকালীন সময়ের যজ্ঞেশ্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, রেনউইক, যজ্ঞেশ্বর এন্ড কোং, এবং মোহিনী মিলস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়াকে পৃথক জেলা ঘোষনা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলায় রয়েছে ৪ টি নির্বাচনী এলাকা, ৬ টি উপজেলা, ৭ টি থানা, ৬৫ টি ইউনিয়ন এবং ৯৭৯ টি গ্রাম। উচ্চ শিক্ষার জন্য কুষ্টিয়ায় রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদাহ জেলার মাঝখানে অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো একাডেমিক ভবনই কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে অবস্থিত। তাছাড়া কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া জেলা স্কুল সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে জেলাটিতে। কুষ্টিয়া জেলায় রয়েছে বিখ্যাত বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের মাজার যেখানে প্রতি বছর আখড়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় দেশের ভেতর ও বাহির থেকে অনেক পর্যটক এখানে আসে। তবে, লালনের এ আখড়ার সামাজিক পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট পরিমান প্রশ্ন রয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে। এখানে অবাধে নেশাজাতীয় দ্রব্য বেচাকেনা হয় এ সময়। এছাড়াও শিলাইদাহতে অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নির্মিত রেলব্রিজ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ ব্রিজ, মীর মোশাররফ হোসেনের বাড়ি, ঝাউদিইয়া শাহী মসজিদ এবং সাম্প্রতিকালে নির্মিত গড়াই নদীর রেনউইক বাধ অন্য তম দর্শনীয় স্থান। ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য সব অঞ্চলের সাথেই কুষ্টিয়ার বেশ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন দুটি ট্রেন কুষ্টিয়া হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পোড়াদাহ রেলস্টেশনে নেমে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া যায়। আর ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী বেশিরভাগ বাসই যমুনা সেতু হয়ে যায়। কিছু কিছু বাস দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে যায়। কুষ্টিয়া স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |