Magura District |
বাংলা সংবাদপত্র | মাগুরা সংবাদপত্র | মাগুরা সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
মাগুরা জেলা দেশের দক্ষিন পষচিমাঞ্চলের একটি সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা মাগুরা। খুলনা বিভাগের অন্তর্গত জেলাটির আয়তন ১০৪৮.৬১ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলাটির প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৮০ জন। জেলাটিতে ৪ টি থানা রয়েছে যা দুটি নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অন্যতম কয়েকটি নদী হল গড়াই নদী, নবগঙ্গা নদী, ঘটকি নদী, আলমখালি নদী এবং মধুমতি নদী। ১৭৮৬ সালে যশোর জেলা গঠিত হওয়ার পর বিশাল এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা একজন জেলা কর্মকর্তার পক্ষে মোটামোটি দুঃসাধ্য হয়ে পরে। বিশেষ করে মগ জলদস্যুদের উৎপাত থেকে ভূষণা এবং মহাম্মাদপুর একাকার জনগনকে রক্ষা করা ছিল কার্যত অসম্ভব। তাই ১৮৪৫ সালে ভুষণা এবং মহাম্মদপুর এলাকা নিয়ে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মাগুরা জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হল রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ দূর্গ। এটি সপ্তাদশ শতকের অন্যতম একটি নিদর্শন। মাগুরা জেলার প্রানকেন্দ্র থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিন পূর্বে মধুমতী নদীর পারে অবস্থিত প্রাসাদ দুর্গটি সত্যিই অসাধারন। এছাড়াও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হল শ্রীপুর জমিদার বাড়ি, কবি কাজী কাদের নেওয়াজের বসতবাড়ি, বিড়াট রাজার বাড়ি, ছান্দাড়া জমিদার বাড়ি, সিধ্বেশ্বরী মঠ ইত্যাদি। মাগুরার রসমালাই এবং ঐতিহ্যবাহী খামার পাড়ার দই অন্যতম দুটি সুস্বাদূ খাবার। রেল এবং আকাশপথে মাগুরার সাথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম নেই। আকাশপথে আসতে চাইলে যশোর এয়ারপোর্টে নেমে আসা যায় যা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ন। তবে সারাদেশের সাথে সড়কপথে মাগুরার সাথে যোগাযোগ আছে। ঢাকা থেকে মাগুরার দূরত্ব ১৭৬ কিলোমিটার। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট এ জেলায় যাওয়া হয়। এটাই সবচেয়ে সহজ রাস্তা। ঘাটে কোন যানজট না থাকলে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘন্টায় ঢাকা থেকে মাগুরা যাওয়া যায়। মোটামোটি সাধ্যের মধ্যে রাত কাটানোর জন্য বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে এখানে। মাগুরা স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |