Chuadanga District |
বাংলা সংবাদপত্র | চুয়াডাঙ্গা সংবাদপত্র | চুয়াডাঙ্গা সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল চুয়াডাঙ্গা জেলা। বাংলাদেশের প্রথম যে দুটি রেলস্টেশন নির্মিত হয়েছিল তার একটি হল চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জাগতী পর্যন্ত রেলপথ নির্মান করা হয়। এটিই ছিল বাংলাদেশের নির্মিত প্রথম রেলপথ। চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন ১১১৭৪ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৭০০ জন। মোট চারটি উপজেলা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা গঠিত। এগুলো হল চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, জীবননঙ্গর এবং দামুরহুদা। জেলাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মেহেরপুর ও ভারতের নদীয়া জেলা। বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে। এগুলো হল নরগঙ্গা, চিত্রা, ভৈরব কুমার ও মাথাভাঙ্গা। মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে চুয়াডাঙ্গা শহরের অরানকেন্দ্র অবস্থিত। ইতিহাস ঐতিহ্য চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। বৃটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতে রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের মধ্যে এ এলাকায়ই সর্বপ্রথম রেল যোগাযোগ চালু করা হয়। ভৌগলিক অবস্থান এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এ অঞ্চলে বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। চিনি শিল্প, বিস্কুট শিল্প, স্পিনিং মিল সহ বহু শিল্প গড়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গা জেলায়। বাংংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিনি কারখানার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কারখানা চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থিত। চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস অনেক পুরানো। গ্রিক ঐতিহাসিকদের মতে এ অঞ্চলেই বিখ্যাত গঙ্গারিডাই বাজ্য অবস্থিত ছিল। গাঙ্গেও নামক একটু শহরও চু৮য়াডাঙ্গায় অবস্থিত ছিল বলে শোনা যায়। এখানকার আদি পুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের নামানুসারেই চুয়াডাঙ্গার নামকরন হয়েছে বলে বেশি প্রচলিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চুয়াডাঙ্গার সংগ্রামী মানুষের অংশগ্রহন ছিল চোখে পরার মত। যুদ্ধের প্রথম দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মেহেরপুরের খুব কাছাকাছি হওয়ায় প্রথম দিকেই বেশ কিছু বড় বড় আক্রমন পরিচালিত হয় এ অঞ্চলে। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য এ অঞ্চলের সাধারন জনতা গড়ে তুলেছিল এক অসামান্য প্রতিরোধ। দর্শনীয় স্থান চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদ, ঠাকুরপুর মসজিদ, শবনগর মসিজিদ, পুলিশ পার্ক, শিশু পার্ক ইত্যাদি। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম চিনি কারখানা কেরু এন্ড কোং একটি বড় শিল্প কারখানা হওয়ার পাশাপাশি অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। যাতায়াত চুয়াডাঙ্গা জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ উন্নত। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন এবং চিত্রা নামের দুটি ট্রেন প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা হইয়ে খুলনা পর্যন্ত যাতায়াত করে। এছারা সড়কপথেও যাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |