Khulna District |
বাংলা সংবাদপত্র | খুলনা সংবাদপত্র | খুলনা সরকারী তথ্য বাতায়ন | বাংলা ওয়াজ শুনুন | ফ্রিল্যান্স জবস |
|
খুলনা জেলা সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিভাগীয় শহর খুলনা। দেশে প্রথমেই যে চারটি বিভাগ গঠিত হয়েছিল তার মধ্যে একটি বিভাগ হল খুলনা। জেলাটিকে ঘিরে রয়েছে যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলা। খুলনার দক্ষিনে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। খান জাহান আলীর পূণ্যভূমি দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলাটির আয়তন প্রায় ৪৩৯৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলাটির জনসংখ্যার ঘমত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫৩০ জন। রুপসা, ভৈরব, শিবসা, পশুর, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা সহ প্রায় ১৫ টি নদী বয়ে গেছে খুলনা জেলার উপর দিয়ে। খুলনা জেলার ৯ টি উপজেলা হল রুপসা, তেরখাদা, দিঘালিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বাটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ এবং কয়রা। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এ জেলায় রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও খুলনা বি. এল কলেজ বাংলাদেশের একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা এককালে দক্ষিনবঙ্গের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ছিল। ইতিহাস ঐতিহ্যঃ খুলনা জেলায় বহু পূর্ব থেকেই ইসলাম প্রচারকদের আগমন ঘটতে থাকে। খান জাহান আলী খুলনা, বাগেরহাট এবং যশোর অঞ্চলে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ূগত কারনে বহু পূর্ব থেকেই মৎস্য চাষের একটি উপযুক্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়ে এসেছে জেলাটি। বাংলাদেশে উৎপাদিত চিংড়ির একটি বিরাট অংশই খুলনায় চাষ হয়। খুলনার দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম হল রুপসা নদীর উপর নির্মিত খান জাহান আলী সেতু। খান জাহান আলী সেতুর প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে পুর্নিমা রাতে যেতে হয়। আর সুন্দরবনের হিরন পয়েন্ট এবং দুবলার চর নামক স্থান দুটি খুলনা জেলার অন্তর্গত। হিরন পয়েন্ট দর্শনার্থীদের অনেক বেশি পছন্দের একটি জায়গা। অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে খুলনা বিভাগীয় যাদুঘর, স্যার পি সি রায়ের বাড়ি, শিরোমনি স্মৃতিসৌধ, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়, বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, শহীদ হাদীস পার্ক এবং কটকা সমুদ্র সৌকত। এছাড়া খুলনা শিপইয়ার্ড খুলনা জেলার একটি দর্শনীয় স্থান। তবে সচরাচর এখান্র প্রবেশের অনুমতি মেলে না। শিপইয়ার্ডটি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা: সারাদেশের সাথে খুলনার সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে প্রতি দিন দুটি ট্রেন সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং যশোর হয়ে খুলনা যায়। এছাড়াও রাজশাহীর সাথেও রেল যোগাযোগ আছে। ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাসগুলো দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া হয়ে যায়। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী কিংবা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি খুলনাগামী বাস পাওয়া যায়। আর গ্রিনলাইন পরিবহনের এসি বাসগুলো ছেড়ে যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের অপজিটে অবস্থিত গ্রীনলাইনের মেইন কাউন্টার থেকে। খুলনা স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন। For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |