Mymensingh Division |
Mymensingh |
Netrokona |
Jamalpur |
Sherpur |
Other Divisions |
Dhaka Division |
Khulna Division |
Chittagonj Division |
Rajshahi Division |
|
|
|
|
জামালপুর জেলা
দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত ময়মিনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এককালে কাসার তৈজসপত্রের জন্য পুরো উপমহাদেশ জুড়ে সুখ্যাতি ছিল জামালপুর জেলার। নকশীকাথার জন্যও বহূ পূর্ব থেকে জামালপুর জেলা বিখ্যাত। এছাড়া মৃৎশিল্প এবং তাতশিল্পের জন্যও জেলাটি অনেক বেশি বিখ্যাত। জামালপুরে প্রচুর ধান, পাট, আখ, গম কাচামরিচ এবং চিনাবাদাম চাষ হয়। বৃহদাকারের এ জেলাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে কুড়িগ্রাম, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুরা জেলা। জেলাটির উত্তরে রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। জেলার পাশে রয়েছে যমুনা নদী এবং পুরানো ব্রহ্মপুত্র নদ। জামালপুর জেলা সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল জামালপুর সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দাহ এবং সরিষাবাড়ী উপজেলা।
ইতিহাস ঐতিহ্য
১৯৭৮ সালে জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার আগে জামালপুর ছিল ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত। জামালপুর জেলা শিল্প এবং সংস্কৃতিতে বেশ সমৃদ্ধ। বহূ পূর্ব থেকেই জামালপুর জেলায় মৃতশিল্প এবং নকশীকাথা উৎপাদন হত। তাছাড়া কাসার জিনিসপত্র তৈরিতে জামালপুরের নাম ছিল সবার আগে।
দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হযরত শাহ জামাল (রহ:) নামে এক ইসলাম প্রচারকের আগমন ঘটে এ এলাকায়। তিনি প্রায় ২০০ জন সহচর নিয়ে ইয়েমেন থেকে এখানে আগমন করেছিলেন। তার উন্নত আচারন এবং চারিত্রিক মাধুর্য এ অঞ্চলে ব্যপক আলোড়নের সৃষ্টি করে। তার ডাকে দলে দলে লোকজন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রন করতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি এ এলাকার জনগনের কার্যত অভিসংবাদিত নেতায় পরিনত হন। তাঁর নামানুসারেই জেলাটির নাম জামালপুর রাখা হয়।
জামালপুরের প্রায় সকল উপজেলায়ই এককালে প্রচুর নাটক, থিয়েটার, গান-বাজনা এবং যাত্রার প্রচলন ছিল। এ অঞ্চলের কুলখানির অনুষ্ঠানগুলোতে পিঠালি মিল্লি নামক একপ্রকার খাবার পরিবেশন করা হয়। গরু বা মহিষের মাংসের সাথে চালের গুড়ো মিশিয়ে তৈরি করা এ খাবারটি এ অঞ্চলের একটি স্বতন্ত্র খাবার যা বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলে পাওয়া যায় না।
দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা যমুনা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি জামালপুর জেলায় অবস্থিত। তবে এ ফ্যাক্টরিতে চাইলেই কেউ ঘুরে দেখতে পারবে না। এ ফ্যাক্টরি পরিদর্শনের জন্য কতৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। জেলায় অবস্থিত হযরত শাহ জামাল (রা) এর মাজার, সরিষাবাড়ীর যমুনা সিটি পার্ক, যমুনা জেটি ঘাট, লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্ক, সরিষাবাড়ীর স্বপ্ননীল পার্ক, দেওয়ানগঞ্জের যমুনার পার, মাদারগঞ্জের হাইওয়ে রোড এবং খরকা বিল, বকশীগঞ্জের গারো পাহাড় লাউচাপড়া পাহাড়িকা বিনোদন কেন্দ্র অন্যতম দর্শনীয় স্থান
জামালপুরের কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় খাবার হল পান, আনারস, বুড়িমার মিষ্টি ও দধি, আজমেরি জিলাপি, সর ভাজা ছানার পায়েস এবং ছানার মিষ্টি।
যাতায়াত
ঢাকার সাথে রেল এবং সড়কপথে জামালপুরের যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মহাখালী সহ প্রায় সব বাস টার্মিনাল থেকেই সরাসরি জামালপুরগামী বাস পাওয়া যায়। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সড়কপথে জামালপুরের যোগাযোগ রয়েছে।
জামালপুর স্থানীয় খবরের কাগজ পরতে এখানে ক্লিক করুন।
For any suggestions or comment, please contact us. Thanks |